পদ্মা সেতুর রেললাইনে পাথর নেই! জেনে নিন কত গতিতে চলবে ট্রেন!

পদ্মা সেতুতে গাড়ি চালিয়ে স্বপ্নের প্রথম ধাপে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। এখন পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলে গেছে। মোটকথা, স্বপ্নের নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। সেতুর উপরের ডেক বা ডাবল ডেকে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ২৫ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উপরের ডেকে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন। এবার ট্রেনটি পরীক্ষামূলকভাবে নিচের ডেকে চালানো হয়েছে (ইননাগ্রুয়েশন অফ রেল)।

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গর্ব। এই সেতুতে রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য চীন দিয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। বিপুল ব্যয়ে এখানে সেতুর ওপর দিয়ে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার বনগা থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেল যোগাযোগ চালুর চেষ্টা করা হয়।

পদ্মা সেতু কার্যত একটি ডাবল ডেকার সেতু। উপরের তলা দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। ট্রেনটি দ্বিতীয় তলা দিয়ে যাবে। বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গতিশীল করতে এই পদ্মা সেতু বড় ভূমিকা রাখছে। দীর্ঘদিন ধরে এই সেতু দিয়ে শুধু গাড়ি চলাচল করত। তবে এবার এই সেতু দিয়ে রেল চলবে।

এই সেতুর দৈর্ঘ্য 6.15 কিলোমিটার। 20 আগস্ট এখানে প্রথম রেললাইন স্থাপন করা হয়। বলা হয়েছিল ছয় মাসের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। কিন্তু তা কতটা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। ধাপে ধাপে এখানে রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবারও এ রুটে রেল যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে। এই পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বাংলাদেশের গণপরিবহনের ইতিহাসে একটি মাইলফলক তৈরি করেছে। পাথরবিহীন রেললাইন আছে।

প্রকল্পের পরিচালক জানান, গত ৩১ মার্চ সেতুতে স্লিপার ঢালাই করে ব্যালাস্টলেস বা পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়। আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকার কমলাপুর থেকে মাওয়া, পদ্মাসেতু (পদ্মা সেতু) পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে চায় রেলওয়ে। তবে জুন মাসে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে বলে একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তবে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে। এই পদ্মা সেতুতে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারে।

Leave a Comment