লতিফের সঙ্গে রাজুর কী সম্পর্ক, কী চুক্তি! এই ব্যক্তি উন্মুক্ত

 গত শনিবার শক্তিগড়ে গোলাগুলিতে মারা যান রাজু ঝা। কয়লা মাফিয়া হিসেবে পরিচিত হলেও সম্প্রতি বড় ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। গরু চোরাচালান মামলার আসামি আব্দুল লতিফকে গুলি করে হত্যা করার সময় সেখানেই ছিলেন। এই দুজনের একসঙ্গে থাকার বিষয়টি সামনে আসার পর তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।

ঘটনার দিন রাজু ঝাঁ গাড়িতে ছিলেন অর্থাৎ আবদুল লতিফের সাদা রঙের এসইউভিতে রাজু ঝাঁ ছাড়াও তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ব্রতীন মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন। এই নারী মুখার্জি এখন এমন খুনের অন্যতম সাক্ষী হয়েছেন। ব্রতীন মুখোপাধ্যায় গাড়ির বাইরে ছিলেন বলে দাবি করেন যখন গাড়িটি দেখা যায় এবং তিন দিক থেকে গুলি চলছে। তবে গাড়ির বাইরে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বাঁ হাতে গুলি হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

অন্যদিকে আবদুল লতিফ ও রাজু ঝাঁর সম্পর্কের বিষয়ে ব্রতীন মুখোপাধ্যায় জানান, রাজু ঝাঁ ছাড়া আর কাউকে তিনি চেনেন না। লতিফকেও চেনে না। তবে লতিফের সঙ্গে রাজু ঝা মামার সম্পর্ক। অন্যদিকে, ঘটনার আগে আবদুল লতিফ গাড়িতে রাজু ঘাইয়ের সঙ্গে ছিলেন কিনা জানতে চাইলে ব্রতীন মুখোপাধ্যায় তা এড়িয়ে যান।

জানা গেছে, ঘটনার দিন দুপুর দেড়টার দিকে আব্দুল লতিফ তার চালক নূর হোসেনকে নিয়ে দুর্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হন। ব্রতীন মুখোপাধ্যায় গাড়িতে উঠলেন দুর্গাপুরের ভিরিঙ্গি মোড়ে। এরপর তারা রাজু ঝাঁর ফরচুন হোটেলে পৌঁছান। এ সময় নূর হোসেনকে গুটখা আনতে বলা হয়। অন্যদিকে ব্রতীন মুখার্জি ও আবদুল লতিফ গাড়ি থেকে নামার পর এ ঘটনা ঘটে।

অন্যদিকে শনিবারের এ ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানা গেছে। তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। আবদুল লতিফও সেদিন গাড়িতে ছিলেন।

Leave a Comment