কয়লা পাচার মামলায় সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার বারিক বিশ্বাস

বেআইনিকয়লা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডির গোয়েন্দারা মালঞ্চ থেকে শুক্রবার উত্তর২৪ পরগনারসীমান্ত মাফিয়াবারিক বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছেন। সিআইডি জানিয়েছে, চলতি বছরের জুলাই জামুরিয়া থানায় দায়ের হওয়া একটি কয়লা পাচারেরমামলায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে উত্তর ২৪ পরগনার এইবারিকের নাম পাওয়া যায়।সেই সূত্র ধরেই বারিককে গ্রেপ্তারকরা হয়েছে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডির সন্দেহ, কোটিকোটি টাকার সোনার বাট, বিস্কুট কেনারঘটনায়, রাজ্যে গোল্ডস্মাগলিং সিন্ডিকেটের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া কালো টাকাকে এভাবেসোনায় রূপান্তরের কাজ কার্যত অসম্ভব।তাই সীমান্ত এলাকায় গোরুসোনা চোরাচালানে জড়িতদুষ্কৃতীদের নামের তালিকা নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেছিলেন ইডিরগোয়েন্দারা।

 

ঠিকএমনই এক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েসিআইডির হাতে এদিন বারিকেরএই গ্রেপ্তার অত্যন্ততাৎপর্যপূর্ণ। কে এই বারিক? ২০১৪ সালে ৪৫ কেজিসোনা সহ ডিআরআই এরগোয়েন্দাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়এই বারিক। আন্তজার্তিক সোনা চোরাচালানের পাশাপাশিউত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটসীমান্ত দিয়ে গোরু পাচারেও তারনাম রয়েছে সিবিআই, ইডির মতো একাধিককেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার খাতায়। একদা বাম ঘনিষ্টএই ব্যবসায়ী ২০১১ সালে রাজ্যেরপালা বদলের পরই তৃণমূল অনুগামীহয়ে যায়। রাজনৈতিক দাদাদের মদতে বসিরহাট এলাকাসহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলাজুড়েতার দাপট। সিআইডির দাবি, ২০২১ সালে জামুড়িয়াএলাকায় একটি কারখানা কিনেনিয়ে শিল্পাঞ্চলে নিজের আধিপত্য বিস্তার করা শুরু করেসে। এরপর থেকেই সেইকারখানার পাশাপাশি বসিরহাট এলাকায় থাকা তার ১৮টিইট ভাটায় শিল্পাঞ্চলের চোরাই কয়লা যেত বলে সিআইডিজানতে পেরেছে।

 

জামুড়িয়াথানার মামলায় সিআইডির জালে ধরা পড়াপাঁচ অভিযুক্ত যুধিষ্ঠির ঘোষ, ওমপ্রকাশ আগরওয়াল, অভিষেক সিং, বিজয় সিং মীর সইদুল জেরারমুখে জানিয়েছে, চোরাই কয়লা কিনে নিত এইবারিক বিশ্বাসই। শুক্রবার বারিককে আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারকতরুণ মণ্ডল ১০ দিনের সিআইডিহেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে সরকারি আইনজীবীঅরিন্দম চক্রবর্তী জানিয়েছেন। এদিন আসানসোল আদালতচত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন বারিকবিশ্বাসের অনুগামীরা। হাঙ্গামা ঠেকাতে আগে থেকেই আদালতচত্বরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাকরেছিল পুলিস সিআইডি। 

Leave a Comment